ক্লোরোফর্ম এর জন্য যোগাযোগ করুন হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ +447558804569

বাংলাদেশে ক্লোরোফর্ম মূলত মেডিকেল বা রাসায়নিক গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত হাসপাতাল, ক্লিনিক বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাওয়া যায়, যেখানে এটি অ্যানাস্থেসিয়া (অজ্ঞানকরণ) বা রাসায়নিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। তবে, ক্লোরোফর্ম সাধারণ জনগণের কাছে সহজলভ্য নয় এবং এটি ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ বা অনুমতি প্রয়োজন।

যেহেতু ক্লোরোফর্ম একটি বিপজ্জনক রাসায়নিক, তাই এটি অবৈধ বা অনুচিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে আইনগত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

+447558804569-এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন হোয়াটসঅ্যাপ এ

ক্লোরোফর্ম (CHCl₃) থেকে ক্লোরোপিকরিন (CCl₃NO₂) প্রস্তুত করার জন্য সাধারণত নাইট্রেটিং এজেন্ট ব্যবহার করা হয়। এটি একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ক্লোরোফর্মের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড এবং কোনো অক্সিডাইজিং এজেন্টের মিশ্রণ প্রয়োজন।

বিক্রিয়া প্রক্রিয়া:

1. পদ্ধতি:
ক্লোরোফর্মের সাথে নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এবং কখনও কখনও অল্পমাত্রায় নাইট্রিক অক্সাইড (NO) বা নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO₂) মেশানো হয়।
এই অবস্থায় নাইট্রেটিং এজেন্ট ক্লোরোফর্মের কার্বন পরমাণুর সাথে বিক্রিয়া করে ক্লোরোপিকরিন তৈরি করে।

2. রাসায়নিক সমীকরণ:

CHCl₃ + HNO₃ → CCl₃NO₂ + H₂O

প্রয়োজনীয় শর্ত:

বিক্রিয়া সাধারণত ঠান্ডা বা নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় করা হয়।

নির্ধারিত অনুপাতে নাইট্রিক অ্যাসিড এবং ক্লোরোফর্ম মিশ্রিত করতে হবে।

নাইট্রিক অক্সাইড বা নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ব্যবহার করলে বিক্রিয়াটি আরও কার্যকর হয়।

এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্লোরোফর্ম থেকে সহজেই ক্লোরোপিকরিন (একটি শক্তিশালী বিষাক্ত রাসায়নিক, যা কীটনাশক বা যুদ্ধকালীন গ্যাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়) তৈরি করা যায়।

ক্লোরোফর্ম কিনতে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার এ যোগাযোগ করুন +447558804569

ক্লোরোফর্ম থেকে স্যালিসাইলডিহাইড প্রস্তুত করতে ক্লোরোফর্ম এবং ফেনলের মধ্যে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যা রাইমার-টিম্যান বিক্রিয়া (Reimer-Tiemann reaction) নামে পরিচিত। এই প্রক্রিয়াটি নিম্নরূপ:

বিক্রিয়ার ধাপসমূহ:

1. প্রাথমিক পদার্থ:

ফেনল (C₆H₅OH)

ক্লোরোফর্ম (CHCl₃)

ক্ষার (সাধারণত NaOH বা KOH)

2. প্রতিক্রিয়া প্রক্রিয়া:

প্রথমে ক্লোরোফর্ম ক্ষারের উপস্থিতিতে হ্যালোফর্ম বিক্রিয়া ঘটায় এবং কার্বিনিয়ন (CCl₃⁻) তৈরি হয়।

ফেনলের হাইড্রক্সিল গ্রুপের কারণে এটি ইলেকট্রন-সমৃদ্ধ অ্যারোমেটিক রিং তৈরি করে, যা কার্বিনিয়নের আক্রমণ গ্রহণ করে।

এতে একটি অস্থায়ী মধ্যবর্তী যৌগ গঠিত হয়।

3. উপসংহার:

মধ্যবর্তী যৌগটি হাইড্রোলাইসিসের মাধ্যমে স্যালিসাইলডিহাইড (C₆H₄(OH)CHO) তৈরি করে।

রাসায়নিক সমীকরণ:

বিক্রিয়ার চাবিকাঠি:

ক্ষারীয় পরিবেশে ক্লোরোফর্মের কার্যকলাপ এবং ফেনলের অ্যারোমেটিক রিংয়ের প্রতিক্রিয়াশীলতা স্যালিসাইলডিহাইড উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ।

বিক্রিয়াটি 60-70 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সম্পন্ন হয়।

এই প্রক্রিয়াটি বিশেষভাবে স্যালিসাইলডিহাইড তৈরির জন্য একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি।

Chloroform spray sell.contact WhatsApp

+447558804569

ক্লোরোফর্মের বিশুদ্ধতা সংরক্ষণের জন্য সতর্কতা এবং উপযুক্ত সংরক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োজন। ক্লোরোফর্ম সহজেই অক্সিজেনের উপস্থিতিতে বিক্রিয়া করে ফসজিন (phosgene) উৎপন্ন করতে পারে, যা অত্যন্ত বিষাক্ত। নিচে ক্লোরোফর্ম সংরক্ষণের জন্য কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হলো:

1. অ্যামাইল অ্যালকোহল যোগ করা:
ক্লোরোফর্মে সাধারণত ১% অ্যামাইল অ্যালকোহল যোগ করা হয়। এটি ক্লোরোফর্মের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে এবং ফসজিন উৎপন্ন হওয়া থেকে রোধ করে।

2. অন্ধকার এবং ঠাণ্ডা স্থানে সংরক্ষণ:
ক্লোরোফর্মকে আলো ও তাপের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে। এটি হালকা সংবেদনশীল, তাই এটি অ্যাম্বার কালারের (গাঢ় রঙের) কাচের বোতলে সংরক্ষণ করা উচিত এবং রেফ্রিজারেটরে রাখা উত্তম।

3. বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার:
ক্লোরোফর্মকে বায়ুরোধী কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে যাতে এটি বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে না আসে।

4. কেমিক্যাল স্ট্যাবিলিটি পরীক্ষা:
সময়ে সময়ে ক্লোরোফর্মের গুণগত মান পরীক্ষা করতে হবে, বিশেষ করে এটি দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষিত থাকলে।

5. শিল্প মান অনুযায়ী নির্দেশনা অনুসরণ:
আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় মান (যেমন, ASTM বা ISO) অনুসরণ করা উচিত যাতে এর বিশুদ্ধতা বজায় থাকে।

সতর্কতা:
ক্লোরোফর্ম বিষাক্ত এবং বাষ্প নিঃশ্বাসে গ্রহণ করা বিপজ্জনক। তাই এটি ব্যবহারের সময় যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা (গ্লাভস, মাস্ক, এবং ভাল বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা) নেওয়া উচিত।